১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ১৫ মিনিটের তাণ্ডবে ৫০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

সুনামগঞ্জে গত রোববার রাতে ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলাজুড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে, বসতঘর ধসে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

রেববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ঝড় থামলেও রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টিতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমপাগলা ইউনিয়নের পাগলাবাজার, রায়পুর কান্দিগাঁও, মির্জাপুর, নবীনগর গ্রামের ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিক্ষস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সময় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় একটি অটোরিকশার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে ওই অটোরিকশার তিনজন যাত্রী আহত হন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ‘ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫০০ শতাধিক ঘরবাড়ি দোকানপাট আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহয়তা করা হবে।’

এদিকে সোমবার সকালে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘সব হাওরে ধানের অবস্থা ভালো। হাওর এলাকায় শিলাবৃষ্টি কম হয়েছে। এ কারণে ফসলের ক্ষতিও কম হয়েছে।’

বিষয়

সুনামগঞ্জে ১৫ মিনিটের তাণ্ডবে ৫০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ০৭:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

সুনামগঞ্জে গত রোববার রাতে ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলাজুড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে, বসতঘর ধসে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

রেববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ঝড় থামলেও রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টিতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমপাগলা ইউনিয়নের পাগলাবাজার, রায়পুর কান্দিগাঁও, মির্জাপুর, নবীনগর গ্রামের ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিক্ষস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সময় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় একটি অটোরিকশার ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে ওই অটোরিকশার তিনজন যাত্রী আহত হন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ‘ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫০০ শতাধিক ঘরবাড়ি দোকানপাট আংশিক ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহয়তা করা হবে।’

এদিকে সোমবার সকালে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘সব হাওরে ধানের অবস্থা ভালো। হাওর এলাকায় শিলাবৃষ্টি কম হয়েছে। এ কারণে ফসলের ক্ষতিও কম হয়েছে।’