সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে দেহ ও চক্ষু দানকারী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অমর চাঁদ দাসকে চিকিৎসক ও নার্স কর্তৃক মারধরের ঘটনায় সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার রোড এলাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা অমর চাঁদ দাসের উপর হামলাকারী চিকিৎসক ও নার্সদের কঠোর শাস্তি দাবি জানানো হয়।
সুনামগঞ্জ উদীচীর সিনিয়র সহ সভাপতি রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টুর সভাপতিত্বে ও জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরি ভট্টাচার্য্য, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, সমকালের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি পঙ্কজ কান্তি দে প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের সবচেয়ে মেধাবী সন্তান হিসেবে ধরা হয় চিকিৎসক নার্সদের, তবে দুইদিন আগে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আজীবন কৃষকদের সংগ্রামে দাবিতে কাজ করে যাওয়া এবং ওসমানীতেই তার দেহ চক্ষু দান করা অমর চাঁদকে যেভাবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মেরেছেন তা নিন্দনীয় এবং অমার্জিত ঘটনা। আমরা অমর চাঁদকে চিনি উনার মতো মেধাসম্পন্ন মানুষ বাংলাদেশে কমই আছে, কিন্তু ওসমানী হাসপাতাল যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এটিই স্পষ্ট যে এই হাসপাতালের সাধারণ মানুষরাতো চিকিৎসা পায় না, বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পায় না।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা আগামীকাল (রোববার) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব। আমরা চাই এঘটনা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। দেশকে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সেজন্য অনতিবিলম্বে এই চিকিৎসক ও নার্সদের চাকুরিচ্যুত করে আইনের হাতে তুলে দেয়া উচিত। অমর চাঁদ দাস ট্রমায় চলে গিয়েছেন। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করা লোকটির উপর এমন ঘটনায় তিনি এখন বোবা হয়ে গেছেন। আমরা অমর চাঁদ দাসের সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাই; তার সাথে সব সময় আছি।