০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে পাকিস্তানি নারী, স্বামীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

বাংলাদেশি স্বামীর খোঁজে পাকিস্তান থেকে হবিগঞ্জে আসা মাহা বাজোয়ার দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহেলা পারভীন মাহার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর পেশকার তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া।

আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তাদের বিয়ের হলফনামার কপি দেখানোর কথা বললে মাহা বাজোয়া সেটি দেখালে বিচারক এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইলের সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন।

তাদের সংসারে জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর মাহা বাজোয়া ও সাজ্জাদ দুবাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে মাহা সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। পরে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়।

গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। স্বামী সাজ্জাদ মজুমদার তাঁর স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করার পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বিষয়

হবিগঞ্জে পাকিস্তানি নারী, স্বামীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৬:৪২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশি স্বামীর খোঁজে পাকিস্তান থেকে হবিগঞ্জে আসা মাহা বাজোয়ার দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহেলা পারভীন মাহার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর পেশকার তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার ১০ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়া।

আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তাদের বিয়ের হলফনামার কপি দেখানোর কথা বললে মাহা বাজোয়া সেটি দেখালে বিচারক এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইলের সফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন।

তাদের সংসারে জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর মাহা বাজোয়া ও সাজ্জাদ দুবাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ২০১৮ সালে মাহা সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন। পরে মাহা বাজোয়া পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়।

গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। স্বামী সাজ্জাদ মজুমদার তাঁর স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করার পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর পেশকার তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।