০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার মধ্যে সিলেটে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, ফল বিপর্যয়ের শঙ্কা

বন্যার মধ্যে সিলেটে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় আছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ঘরে পানি প্রবেশের কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেনি। ফলে এবারের পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

এদিকে, সিলেটের আবহাওয়া এখনো অনুকূলে আসেনি। রাত-দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ভারি তো কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত। তার মধ্যে দেখা দিয়েছে উজানের ঢলের পানি। সুরমা নদী-কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এমনকি অনেক পরীক্ষার্থীর বইপত্র বানের পানিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এইচএসসির পরীক্ষা শুরুর খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।

তারা জানান, এমন পরিস্থিতিতে আরও কয়েক দিন পরে পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার্থীদের জন্য ভালো হতো। এতে ফলাফল বিপর্যয় কিংবা শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ার শঙ্কা থাকত না। বোর্ডের উচিত ছিল বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষা শুরু করা।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কেন্দ্রের আশপাশে পানি থাকলেও কেন্দ্রের মধ্যে কোনো পানি নেই।

তিনি বলেন, আমার জানা মতো ৩টা পরীক্ষা কেন্দ্রে পানি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো অনেক শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও তার যাতায়াতের সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে। এতে তাদের পরীক্ষায় আসা ব্যাঘাত ঘটবে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিকে অংশ নিচ্ছে। আর সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্র ৮৭টি।

সিলেটের সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি

সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি একটি পয়েন্টে ও কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জের ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জুন ওই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েই সিলেট বিভাগে মূলত এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


 

বন্যার মধ্যে সিলেটে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, ফল বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত: ০২:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

বন্যার মধ্যে সিলেটে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় আছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ঘরে পানি প্রবেশের কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেনি। ফলে এবারের পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

এদিকে, সিলেটের আবহাওয়া এখনো অনুকূলে আসেনি। রাত-দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ভারি তো কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাত। তার মধ্যে দেখা দিয়েছে উজানের ঢলের পানি। সুরমা নদী-কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো বিপৎসসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এমনকি অনেক পরীক্ষার্থীর বইপত্র বানের পানিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এইচএসসির পরীক্ষা শুরুর খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।

তারা জানান, এমন পরিস্থিতিতে আরও কয়েক দিন পরে পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার্থীদের জন্য ভালো হতো। এতে ফলাফল বিপর্যয় কিংবা শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ার শঙ্কা থাকত না। বোর্ডের উচিত ছিল বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষা শুরু করা।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কেন্দ্রের আশপাশে পানি থাকলেও কেন্দ্রের মধ্যে কোনো পানি নেই।

তিনি বলেন, আমার জানা মতো ৩টা পরীক্ষা কেন্দ্রে পানি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো অনেক শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও তার যাতায়াতের সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে। এতে তাদের পরীক্ষায় আসা ব্যাঘাত ঘটবে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিকে অংশ নিচ্ছে। আর সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্র ৮৭টি।

সিলেটের সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি

সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি একটি পয়েন্টে ও কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জের ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জুন ওই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েই সিলেট বিভাগে মূলত এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে