বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সিলেট নগরে বন্যার উন্নতি হচ্ছে। জলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে। তবে নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ–নদীর বাঁধ ভেঙে ওই সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের দুই নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে আজ রোববার সকাল ছয়টায় বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ০৮ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমারা ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার সীমন্তবর্তী জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে এবং পানি উপচে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে সিলেট নগরে জলাবদ্ধ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে মানুষের ভোগান্তি কমছে না। ঘর থেকে বের হলেই পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ পানিবন্দী। বর্তমানে জেলার ১ হাজার ১১৬টি গ্রাম প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৮৩৪ জন। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বৃষ্টি কমে আসায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নামছে ধীরে। আরও কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে