বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের সমর্থন চান না, তিনি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশীদের হাতে পায়ে ধরেন। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষায় লবিং করে, আর আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান লবিং করেন ক্ষমতা দখল করে রাখতে। কারন দেশের শতকরা ৫ ভাগ জনগনও তাকে সমর্থন করেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য বরে মুক্তাদির বলেন, তিনি বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, হাজার হাজার ভুয়া মামলার জননী তিনি। ক্ষমতাকে আকড়ে রাখতে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেইন অব কমান্ডকে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনগনের নামে হাজার হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলকে দমন নিপীড়ন করতে পুলিশবাহিনীকে নির্লজ্জ ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা দূর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এভাবে তো একটি দেশ চলতে পারে না। আপনাদের দিন ফুড়িয়ে এসেছে, পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই শ্রীলঙ্কার মতো দৌড়ানী খেতে না চাইলে এখনই পদত্যাগ করুন, অন্যতায় পরিনাম শুভ হবে না। শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহন্তরীন করে রেখেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেনা। ১৮ কোটি মানুষের আস্তার প্রতীক দেশনেত্রীকে অভিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না।
রোববার বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিও উন্নত চিকিৎসার দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোটে তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশবাসী এই স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ববাসীও বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিশিরাতের ভোটডাকার সরকার ও তাদের গৃহপালিত কতিত ঠুঠুজগন্নাত বিরোধী দল এবং ভোট চুরিতে সহযোগিতাকারী, জনগনের উপর ঝুলুম নির্যাতনের সাথে জড়িত কিছু আমলাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সর্বোপরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করা এবং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্ধি করে রেখেছে। তাকে সুচিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। যারা এই সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে জনগন তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখবে।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী, সামিয়া চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মামুনুর রশিদ মামুন, নজিবুর রহমান নজিব প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে সিলে জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।