০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদনদীর পানি কোথাও বাড়ছে কোথাও অপরিবর্তিত

সিলেটে নদনদীর পানি কোথাও বাড়ছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর সব কটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১২টায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০২ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য বলছে জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ১৬০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৮. ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৬৪ মিলিমিটার। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া দুই দফা বন্যায় সব নদ-নদী ও হাওর এলাকা পানি ভর্তি থাকায় পানি কমছে ধীরে।

নদনদীর পানি কোথাও বাড়ছে কোথাও অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: ০১:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সিলেটে নদনদীর পানি কোথাও বাড়ছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর সব কটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১২টায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০২ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য বলছে জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ১৬০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৩ জন মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৯ হাজার ২৩৪ জন মানুষ।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৮. ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ৬৪ মিলিমিটার। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া দুই দফা বন্যায় সব নদ-নদী ও হাওর এলাকা পানি ভর্তি থাকায় পানি কমছে ধীরে।