গেল ৩৬ ঘন্টায় সিলেটে ১৯৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার (০১ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টি হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আবারও বন্যার মুখোমুখি সিলেটের বাসিন্দারা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় এরই মধ্যে পাহাড়ি ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সুরমা-কুশিয়ারা ও সারি নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিলেটে একদিন আগেও সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। এখন সবকটি নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। তিন ঘন্টা পরপর নদ-নদীর কোথাও কোথাও ৫৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জাফলং, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে গতকাল সোমবার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার, আমলশীদ পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর সারিঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া নদনদী আর কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার জানান, আগামী তিনদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সমতলে কোথাও কোথাও নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে ঢুকতে পারে।