ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি চার পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবোর তথ্যমতে, আজ সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে সারি নদরে পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া লোভা, ডাউকি, ধলাই ও সারি-গোয়াইন নদী পানি তিন ঘন্টা পরপর ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদনদীর অন্য সবকটি পয়েন্টে পানি বেড়ে প্রায় বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আর সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটের সীমান্ত এলাকায় প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানি বাড়া বা কমার বিষয়টি ভারতে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। সিলেটে কম বৃষ্টি হলেও ভারতের বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। তবে বৃষ্টি কম হলে এবং ঢল থামলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৬৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোক উঠেছেন। তবে এর আগে পানি কমায় সিলেট সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন বাড়ি ফিরে যান।