আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সোমবার (০১ জুলাই) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থা নিয়ে দেওয়া ওই পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগমী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা, পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীলতা পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সব নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে গোয়াইনঘাট উপজেলায় তৃতীয় দফায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৮ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তিন দিনে মোট ৬৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আগামী ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তিন দিনে মোট ৯৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া এবং আগামী কিছুদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায় উপজেলায় পুনরায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির কারণে আবারও বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সব নদ-নদীর পানি। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আগামী বুধবার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।