১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদ-নদীতে পানি বাড়ছে, ফের বন্যার আশঙ্কা!

ছবি: সংগৃহীত

গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ফের সিলেটে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  শনিবার (২৯ জুন) দিনভর সিলেটে থেমে থেম বৃষ্টি ঝরেছে। বৃষ্টি হচ্ছে উজানেও। সেই সাথে নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে করে সিলেট-সুনামগঞ্জের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পানি বাড়ায় দুই জেলার নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শুক্রবারের পূর্ভাবাসেও এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলো ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> আবারও ডুবতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল

গত কয়েক দিন আগেই সিলেটের চার জেলোয় বন্যা দেখা দিয়েছিল। একরকম তলিয়ে গিয়েছিল নদী তীরবর্তী অঞ্চল। বন্যার সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। এখনো দুই জেলায় পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। এর রেশ না কাটতেই আবারও ভারী বর্ষণের পূর্ভাবাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রে। এতে সিলেট অঞ্চলে ফের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, একদিনের ব্যবধানে সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সারি, সারি-গোয়াইন, ডাউকি ও ধলাই নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদ-নদীর সব পয়েন্টে পানির উচ্চতা কয়েক সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা আট দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সারা দেশে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হতে পারে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুইদিন সিলেট ও উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে আগামী সোমবার রাতের মধ্যে, সুরমা নদীর জলস্তর আরও ৪০ সেমি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় যাতায়াতে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> সিলেটে টানা তিন দিন বৃষ্টির আভাস

সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২২০ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার ২৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ১২ হাজার ১৯৬ জন মানুষ।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামায় নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। তবে বৃষ্টি কম হলে এবং ঢল থামলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী দু’দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও ততটা ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

নদ-নদীতে পানি বাড়ছে, ফের বন্যার আশঙ্কা!

প্রকাশিত: ০৬:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ফের সিলেটে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  শনিবার (২৯ জুন) দিনভর সিলেটে থেমে থেম বৃষ্টি ঝরেছে। বৃষ্টি হচ্ছে উজানেও। সেই সাথে নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে করে সিলেট-সুনামগঞ্জের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পানি বাড়ায় দুই জেলার নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শুক্রবারের পূর্ভাবাসেও এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলো ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> আবারও ডুবতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল

গত কয়েক দিন আগেই সিলেটের চার জেলোয় বন্যা দেখা দিয়েছিল। একরকম তলিয়ে গিয়েছিল নদী তীরবর্তী অঞ্চল। বন্যার সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। এখনো দুই জেলায় পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। এর রেশ না কাটতেই আবারও ভারী বর্ষণের পূর্ভাবাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রে। এতে সিলেট অঞ্চলে ফের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, একদিনের ব্যবধানে সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সারি, সারি-গোয়াইন, ডাউকি ও ধলাই নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদ-নদীর সব পয়েন্টে পানির উচ্চতা কয়েক সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা আট দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সারা দেশে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হতে পারে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুইদিন সিলেট ও উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে আগামী সোমবার রাতের মধ্যে, সুরমা নদীর জলস্তর আরও ৪০ সেমি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় যাতায়াতে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> সিলেটে টানা তিন দিন বৃষ্টির আভাস

সিলেট জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২২০ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার ২৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ১২ হাজার ১৯৬ জন মানুষ।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামায় নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। তবে বৃষ্টি কম হলে এবং ঢল থামলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী দু’দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও ততটা ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা নেই।