০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চিনিকাণ্ড নিয়ে আ.লীগ নেতা

মাসুক উদ্দিনের যে বক্তব্যে সিলেটজুড়ে ‘তোলপাড়’

সিলেটে চিনিকাণ্ডে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও সম্প্রতি দলের নেতাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ। দলের মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ছাত্রলীগ নিয়ে তার একটি বক্তব্য সিলেটজুড়ে তোলাপাড় শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে অনেকে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

ছাত্রলীগের সমালোচিত এ বিষয়ে মুখ খোলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বক্তব্য নিয়ে আমাকে কিছু বলার সাহস কারো নেই। আমিতো কিছুই বলিনি। এর চেয়ে আরও বেশি জানে মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে নিয়ে আমি বাইরে কিছু বলিনি। আমাদের নেতাদের কাছে শুধু বাস্তবতা তুলে ধরেছি। তারা আমাদের ঘরের মানুষ। তাছাড়া সবারই বক্তব্য এটি। কিন্তু অনেকে সাহস করে কিছু বলেননি। আমি মনে এখানে সাহসের কী আছে? মৃত্যু তো একদিন হবেই। কেউ পিছনে কিছু করলে আর কী হবে? একটা কথা বলে তো গেলাম।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা অতিষ্ঠ। কার শেল্টারে কারা এসব করতেছে এগুলোতো বলছি না। বিষয়টি শুধু আমাদের নেতাদের নজরে এনেছি।’

মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘আমরাও ছাত্রলীগ করেছি। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে এসেছি। তাদের জন্য ভয় করছে। কারণ তারা তো আগামীতে দেশ চালাবে। তারা বারবার সমালোচিত হলে তাদের ভবিষ্যৎ কোথায়? তাদের নিয়ে সমালোচনার কারণে আমরাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় তো শেষ। আগামীতে তারা দল চালাবে। এজন্য মানুষের কাছ তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে বলিনি। আমাদের নেতাকে বাস্তব কথা বলেছি। তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের প্রয়োজনে বলবেন। তারা ব্যবস্থা নিলে নিতে পারে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যারা রয়েছেন অত্যন্ত স্বচ্ছ। আমার মনে হচ্ছে তারা একটা ব্যবস্থা নেবে।’

আওয়ামী লীগের কোনো নেতা চিনিকাণ্ডে জড়িত কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে অসম্ভব সেটা বলবো না। তবে কিছু পাতি নেতা জড়িত থাকলে থাকতে পারে। এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’

মাসুক উদ্দিনের নিজ এলাকা জকিগঞ্জ উপজেলায় চোরাই চিনি নিয়ে একটি ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসলে বসে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার মতামত আমি স্বচ্ছ দেবো।’

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি ছাত্রলীগের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের জন্য লজ্জা হয়। রাস্তায় হাঁটতে পারি না। তোমাদের নিয়ে অনেক কথা শুনি। কিন্তু বলার সাহস নাই। আগামীতে আমাদের আরও কঠিন দিন আসছে। জনগণের আস্থা অর্জন না করতে পারলে চলতে পারব না। এ গ্রুপ-সেই গ্রুপ বাদ দিতে হবে। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’

মাসুক উদ্দিনের বক্তব্যের ভিডিও দলীয় এক কর্মী তার ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, যুগ্ম-সম্পাদক ও এমপি মাহাবুবউল আলম হানিফ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: জাগো নিউজ

চিনিকাণ্ড নিয়ে আ.লীগ নেতা

মাসুক উদ্দিনের যে বক্তব্যে সিলেটজুড়ে ‘তোলপাড়’

প্রকাশিত: ০৬:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

সিলেটে চিনিকাণ্ডে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও সম্প্রতি দলের নেতাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ। দলের মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ছাত্রলীগ নিয়ে তার একটি বক্তব্য সিলেটজুড়ে তোলাপাড় শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে অনেকে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

ছাত্রলীগের সমালোচিত এ বিষয়ে মুখ খোলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বক্তব্য নিয়ে আমাকে কিছু বলার সাহস কারো নেই। আমিতো কিছুই বলিনি। এর চেয়ে আরও বেশি জানে মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে নিয়ে আমি বাইরে কিছু বলিনি। আমাদের নেতাদের কাছে শুধু বাস্তবতা তুলে ধরেছি। তারা আমাদের ঘরের মানুষ। তাছাড়া সবারই বক্তব্য এটি। কিন্তু অনেকে সাহস করে কিছু বলেননি। আমি মনে এখানে সাহসের কী আছে? মৃত্যু তো একদিন হবেই। কেউ পিছনে কিছু করলে আর কী হবে? একটা কথা বলে তো গেলাম।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা অতিষ্ঠ। কার শেল্টারে কারা এসব করতেছে এগুলোতো বলছি না। বিষয়টি শুধু আমাদের নেতাদের নজরে এনেছি।’

মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘আমরাও ছাত্রলীগ করেছি। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে এসেছি। তাদের জন্য ভয় করছে। কারণ তারা তো আগামীতে দেশ চালাবে। তারা বারবার সমালোচিত হলে তাদের ভবিষ্যৎ কোথায়? তাদের নিয়ে সমালোচনার কারণে আমরাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় তো শেষ। আগামীতে তারা দল চালাবে। এজন্য মানুষের কাছ তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে বলিনি। আমাদের নেতাকে বাস্তব কথা বলেছি। তিনি ছাত্রলীগের নেতাদের প্রয়োজনে বলবেন। তারা ব্যবস্থা নিলে নিতে পারে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যারা রয়েছেন অত্যন্ত স্বচ্ছ। আমার মনে হচ্ছে তারা একটা ব্যবস্থা নেবে।’

আওয়ামী লীগের কোনো নেতা চিনিকাণ্ডে জড়িত কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে অসম্ভব সেটা বলবো না। তবে কিছু পাতি নেতা জড়িত থাকলে থাকতে পারে। এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’

মাসুক উদ্দিনের নিজ এলাকা জকিগঞ্জ উপজেলায় চোরাই চিনি নিয়ে একটি ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসলে বসে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার মতামত আমি স্বচ্ছ দেবো।’

এর আগে গত সোমবার (২৪ জুন) রাতে সিলেট সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি ছাত্রলীগের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের জন্য লজ্জা হয়। রাস্তায় হাঁটতে পারি না। তোমাদের নিয়ে অনেক কথা শুনি। কিন্তু বলার সাহস নাই। আগামীতে আমাদের আরও কঠিন দিন আসছে। জনগণের আস্থা অর্জন না করতে পারলে চলতে পারব না। এ গ্রুপ-সেই গ্রুপ বাদ দিতে হবে। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’

মাসুক উদ্দিনের বক্তব্যের ভিডিও দলীয় এক কর্মী তার ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, যুগ্ম-সম্পাদক ও এমপি মাহাবুবউল আলম হানিফ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: জাগো নিউজ