১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিলেটে পানিবন্দি ৯ লাখ মানুষ

সুরমা-কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্ট এখনো বিপৎসসীমার ওপরে

সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল থামায় নদনদীর পানি কমেছে। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নামছে বন্যার পানি। তবে এখনো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানির উচ্চতা অনেকটা কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, আজ শনিবার ও গতকাল শুক্রবার নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছিল। এর আগে শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তীত রয়েছে। এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি কমেছে। সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

অতিবৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় গত সোমবার থেকে সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে সিলেটে বন্যা হয়েছিল, সেটি ৮ জুনের পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়।

সিলেটে পানিবন্দি ৯ লাখ মানুষ

সুরমা-কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্ট এখনো বিপৎসসীমার ওপরে

প্রকাশিত: ০৯:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল থামায় নদনদীর পানি কমেছে। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নামছে বন্যার পানি। তবে এখনো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানির উচ্চতা অনেকটা কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, আজ শনিবার ও গতকাল শুক্রবার নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছিল। এর আগে শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তীত রয়েছে। এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি কমেছে। সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

অতিবৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় গত সোমবার থেকে সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে সিলেটে বন্যা হয়েছিল, সেটি ৮ জুনের পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়।