সিলেট মহানগরে কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের ১৬ শ কর্মী। ইতোমধ্যে মহানগর এলাকার পশুর হাটসহ প্রায় ৯০ ভাগ বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে যেসব বাজার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো সেগুলো পরিস্কার করতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান- ঈদুল আযহার জামাত শেষে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং তাদের সঙ্গে সকালের নাশতা করেন। পরে সিসিকের ১৬’শ কর্মীকে নামানো হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য প্রথমে মহানগরের নালাগুলো পরিচ্ছন্ন করেন কর্মীরা। পরে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ভাগ করে দেওয়া হয় তাদের। পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিজেই তদারকি করছেন সিসিক মেয়র।
সিসিক সূত্র জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহানগর এলাকার পশুর হাটসসহ প্রায় ৯০ ভাগ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেসব হাটে পানি উঠে পড়েছে সেসব হাট থেকে পানি নামার সাথে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।
এদিকে, বিকালের মধ্যেই কুরবানির পশুর বর্জ্য প্রায় ৮০ ভাগ পরিচ্ছন্ন করে ফেলেছেন সিসিক কর্মীরা। তবে অনেকের বাসাবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় তারা সোমবার পশু জবাই করতে পারেননি। তারা আগামীকাল (মঙ্গলবার) অথবা পরশু (বুধবার) কুরবানি করবেন। তাই আগামী দুদিনও সিসিকের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানিয়েছেন, নগরের আজকের কুরবানির পশুর বর্জ্য রাত ৯টার মধ্যেই পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন করা হবে। মেয়র মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন- মহানগরবাসীর কুরবানি দেওয়া-সাপেক্ষে আরও দুই অথবা একদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। বর্জ্য সিসিকের গাড়িতে করে সরাসরি ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।
সিসিক সূত্র আরও জানায়, সকালে মহানগরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে পানি। ভারী বৃষ্টি না দিলে রাতে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। ফলে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পরিচ্ছনতা অভিযান চালানো আরও সহজ হবে।