০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের ১১ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

বুধবার সিলেট বিভাগের ১১ টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৮ টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নতুন প্রার্থী। দুটিতে সাবেক চেয়ারম্যান নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন। গোলাপেঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যান পুননির্বাচিত হয়েছেন। ১১ উপজেলার মধ্যে কেবল বিশ্বনাথে বিএনপিপন্থী প্রার্থী সুহেল আহমদ চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৯টিতেই আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচিত হয়েছেন। আর কুলাউরায় বিজয়ী হয়েছেন আল ইসলাহ নেতা মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ। 
গতকাল বুধবার সিলেট জেলায় চারটি, সুনামগঞ্জে দুটি, মৌলভীবাজারে তিনটি এবং হবিগঞ্জে দুটি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট:
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সুজাত আলী রফিক বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে সুজাত আলী রফিক পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম টুনু পান ১৩ হাজার ৮শ ৬৩ ভোট।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন) ২০হাজার ৬১৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল) ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়েছেন।
বিশ্বনাথে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি ঘরানার প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থক গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫০ ভোট।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ:
দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস বিজয়ী হয়েছেন। প্রদীপ রায় দোয়াতকলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে পান ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট।
শাল্লায় অবনী মোহন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিষ্কৃত) গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট।
মৌলভীবাজার:
জুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি বিজয়ী হয়েছেন। কিশোর রায় চৌধুরী মণি ১৯ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ মোঈদ ফারুক পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৮৮ ভোট।
বড়লেখা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট।
কুলাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ফুলতলী পীর সমর্থিত আল ইসলাহর প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৪২।
হবিগঞ্জ:
আজমিরীগঞ্জে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট পেয় বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট।
বানিয়াচং উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।

সিলেটের ১১ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
বুধবার সিলেট বিভাগের ১১ টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে ৮ টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নতুন প্রার্থী। দুটিতে সাবেক চেয়ারম্যান নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন। গোলাপেঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যান পুননির্বাচিত হয়েছেন। ১১ উপজেলার মধ্যে কেবল বিশ্বনাথে বিএনপিপন্থী প্রার্থী সুহেল আহমদ চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৯টিতেই আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচিত হয়েছেন। আর কুলাউরায় বিজয়ী হয়েছেন আল ইসলাহ নেতা মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ। 
গতকাল বুধবার সিলেট জেলায় চারটি, সুনামগঞ্জে দুটি, মৌলভীবাজারে তিনটি এবং হবিগঞ্জে দুটি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট:
সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সুজাত আলী রফিক বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে সুজাত আলী রফিক পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম টুনু পান ১৩ হাজার ৮শ ৬৩ ভোট।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন) ২০হাজার ৬১৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল) ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়েছেন।
বিশ্বনাথে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি ঘরানার প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থক গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫০ ভোট।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ:
দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস বিজয়ী হয়েছেন। প্রদীপ রায় দোয়াতকলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে পান ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট।
শাল্লায় অবনী মোহন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিষ্কৃত) গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট।
মৌলভীবাজার:
জুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি বিজয়ী হয়েছেন। কিশোর রায় চৌধুরী মণি ১৯ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ মোঈদ ফারুক পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৮৮ ভোট।
বড়লেখা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট।
কুলাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ফুলতলী পীর সমর্থিত আল ইসলাহর প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৪২।
হবিগঞ্জ:
আজমিরীগঞ্জে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট পেয় বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট।
বানিয়াচং উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।