০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের বলি আলী নিশা, গ্রেফতার ৪

কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন সিলেট নগরের ছড়ারপার এলাকার কিশোর মো. আলী নিশা (১৭)। মামলার প্রধান আসামিসহ অপর কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফরহাদ মিয়া (২০), নূরনবী নুনু (১৯), সাকিব আহমদ (১৯) ও রাহিম আহমদ (১৯)। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার প্রধান আসামি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, সিলেট নগরীর ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মূলত ওই দ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় মো. আলীকে। অপর একটি সূত্র জানায়, দুটি গ্রুপের সদস্যরা চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবারে জড়িত। টাকার ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতাকৃতরা এ হত্যাকাণ্ড মামলার এজহারভূক্ত আসামি। গত শনিবার রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার দত্তগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা দেন।
ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
খুন হওয়া মো. আলী নিশা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে থাকতো।

দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের বলি আলী নিশা, গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ০৮:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন সিলেট নগরের ছড়ারপার এলাকার কিশোর মো. আলী নিশা (১৭)। মামলার প্রধান আসামিসহ অপর কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফরহাদ মিয়া (২০), নূরনবী নুনু (১৯), সাকিব আহমদ (১৯) ও রাহিম আহমদ (১৯)। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার প্রধান আসামি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায়, সিলেট নগরীর ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মূলত ওই দ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় মো. আলীকে। অপর একটি সূত্র জানায়, দুটি গ্রুপের সদস্যরা চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবারে জড়িত। টাকার ভাগ নিয়ে তাদের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতাকৃতরা এ হত্যাকাণ্ড মামলার এজহারভূক্ত আসামি। গত শনিবার রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার দত্তগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা দেন।
ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
খুন হওয়া মো. আলী নিশা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে থাকতো।