১১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিলেটে ঘন ঘন লোডশেডিং

‘বিদ্যুৎ যে কখন আসে, তা বলতে পারি না’

হঠাৎ করেই সিলেটে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। দিন রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। ইফতার, তারাবি ও সেহরিতে মিলেছে না বিদ্যুৎ। নগরে একটানা আধাঘন্টার বেশি সময় লোডশেডিং হচ্ছে।  গ্রামগঞ্জে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। চলিত মাসের শুরু থেকেই সিলেটে বিদ্যুতের এমন বেহাল অবস্থা চলছে। দিন-রাতে আট থেকে দশবার বিদ্যুৎহীন থাকতে হয় গ্রাহকদের।

গ্রাহকেরা জানান, বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজির কারনে তারাবির নামাজ ও ঈদের কেনাকাটায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে হাপিয়ে উঠেছেন সিলেট নগর ও শহরাঞ্চলের সাড়ে চার লাখ গ্রাহক। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে। শিগগিরই তা কেটে যাবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবির সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরবরাহ মিলেছে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট। তথ্য বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৪৪ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলেছে ৭০ মেগাওয়াট। বুধবার চাহিদা ছিল ১৩০ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিলো ৬৬ মেগাওয়াট। মঙ্গলবার চাহিদা ছিলো ১৪০ মেগাওয়াট আর সরবরাহ ছিলো ৫৬ মেগাওয়াট। সরবরাহ কম থাকায় ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

কাপড় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে বেচা-বিক্রি কম। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। রাতের অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টি একটু বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। যার ফলে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে এসে বিপাকে পড়ছেন।

সিলেট সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন ‘বিদ্যুৎ যে কখন আসে, তা বলতে পারি না। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায়। এমনিতেই ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে না। তার মাঝে বৃষ্টি হালকা বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’

সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার গ্রাহক তানভীর আহমদ বলেন, ‘বৃষ্টি একটু বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। কখনো সারারাতও বিদ্যুৎ থাকে না।’

এ বিষয়ে পিডিবি, সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি বলেন, ‘একে তো তাপমাত্রা বেড়েছে, অন্যদিকে শপিংমলগুলোয় রাত অবধি বেচাকেনা চলছে। একই সময়ে গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গরম আরও বাড়লে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।’

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো আখতারুজ্জামান লস্কর জানান, শুক্রবার তার আওতাধীন এলাকায় চাহিদা ছিলো ৬১ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ মিলেছে ৫০ মেগাওয়াট।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জিব কুমার রায় জানান, তার অওতাধীন এলকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ২৭ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলেছে ২৩ মেগাওয়াট।

সিলেটে ঘন ঘন লোডশেডিং

‘বিদ্যুৎ যে কখন আসে, তা বলতে পারি না’

প্রকাশিত: ০৫:৩০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

হঠাৎ করেই সিলেটে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। দিন রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং। ইফতার, তারাবি ও সেহরিতে মিলেছে না বিদ্যুৎ। নগরে একটানা আধাঘন্টার বেশি সময় লোডশেডিং হচ্ছে।  গ্রামগঞ্জে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। চলিত মাসের শুরু থেকেই সিলেটে বিদ্যুতের এমন বেহাল অবস্থা চলছে। দিন-রাতে আট থেকে দশবার বিদ্যুৎহীন থাকতে হয় গ্রাহকদের।

গ্রাহকেরা জানান, বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজির কারনে তারাবির নামাজ ও ঈদের কেনাকাটায় বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে হাপিয়ে উঠেছেন সিলেট নগর ও শহরাঞ্চলের সাড়ে চার লাখ গ্রাহক। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে। শিগগিরই তা কেটে যাবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিবির সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরবরাহ মিলেছে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট। তথ্য বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৪৪ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলেছে ৭০ মেগাওয়াট। বুধবার চাহিদা ছিল ১৩০ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিলো ৬৬ মেগাওয়াট। মঙ্গলবার চাহিদা ছিলো ১৪০ মেগাওয়াট আর সরবরাহ ছিলো ৫৬ মেগাওয়াট। সরবরাহ কম থাকায় ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

কাপড় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে বেচা-বিক্রি কম। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। রাতের অবস্থা আরও খারাপ। বৃষ্টি একটু বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। যার ফলে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে এসে বিপাকে পড়ছেন।

সিলেট সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন ‘বিদ্যুৎ যে কখন আসে, তা বলতে পারি না। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায়। এমনিতেই ঘন্টার পর ঘন্টা থাকছে না। তার মাঝে বৃষ্টি হালকা বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’

সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার গ্রাহক তানভীর আহমদ বলেন, ‘বৃষ্টি একটু বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। কখনো সারারাতও বিদ্যুৎ থাকে না।’

এ বিষয়ে পিডিবি, সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি বলেন, ‘একে তো তাপমাত্রা বেড়েছে, অন্যদিকে শপিংমলগুলোয় রাত অবধি বেচাকেনা চলছে। একই সময়ে গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গরম আরও বাড়লে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।’

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো আখতারুজ্জামান লস্কর জানান, শুক্রবার তার আওতাধীন এলাকায় চাহিদা ছিলো ৬১ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ মিলেছে ৫০ মেগাওয়াট।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জিব কুমার রায় জানান, তার অওতাধীন এলকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ২৭ মেগাওয়াট। সরবরাহ মিলেছে ২৩ মেগাওয়াট।