০৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ গভীর সম্পর্ক রয়েছে

ভারতের আসাম রাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন গুয়াহাটি মিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটিস্থ খানাপাড়ায় হোটেল বিভান্তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাম সরকারের বিদ্যুৎ, ক্রীড়া, যুব এবং আদিবাসী ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী নন্দিতা গোর্লোসা।

অনুষ্ঠানে শুরুতে দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন এবং তার পত্নী ডা. নবনীতা হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মিসেস নন্দিতা গোর্লোসা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত সাধ্যমত সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছে। যুদ্ধে বাংলাদেশর ৩০ লক্ষ শহিদের সাথে অনেক ভারতীয় সৈনিক নিহত হয়েছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ভারত সরকারের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি আর বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে।

ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে স্থল পথ, নৌ-পথে যোগাযোগ উন্নয়নে আগ্রহী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামসহ সেভেন সিস্টার রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট বিভাগের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, ভাষা ও সাহিত্য, সংস্কৃতি বিনিময় এবং রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আর এগিয়ে নিতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ আন্তরিক।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তত ১ কোটি মানুষকে তৎকালীন ভারত সরকার আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেন। আসামে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছিলে। যুদ্ধে ভারত সরকার হাজার হাজার সৈন্যসহ সবকিছু দিয়ে সহযোগিতায় করায় তিনি ভারত সরকার এবং তাদের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে গুয়াহাটি মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।

আসামসহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মানুষের জন্য ভিসা সহজ করা হয়েছে। উভয় দেশের মানুষ এখন সহজে ভ্রমণে করতে পারছেন। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে গুয়াহাটি মিশন সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাম সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিল্পী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে সিলেটের জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক নূরুল ইসলাম গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার (মিশন প্রধান) মি. রুহুল আমিনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক উপহার দেন। এসময় সফরসঙ্গী সিলেটের ব্যবসায়ী আবদুর রব তাপাদার, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক শোয়েব উদ্দিন ছাড়াও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে আসামের বিভিন্ন সরকাররি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের গুয়াহাটি মিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ গভীর সম্পর্ক রয়েছে

প্রকাশিত: ০৩:১৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ভারতের আসাম রাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন গুয়াহাটি মিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটিস্থ খানাপাড়ায় হোটেল বিভান্তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাম সরকারের বিদ্যুৎ, ক্রীড়া, যুব এবং আদিবাসী ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী নন্দিতা গোর্লোসা।

অনুষ্ঠানে শুরুতে দু’দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন এবং তার পত্নী ডা. নবনীতা হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মিসেস নন্দিতা গোর্লোসা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত সাধ্যমত সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছে। যুদ্ধে বাংলাদেশর ৩০ লক্ষ শহিদের সাথে অনেক ভারতীয় সৈনিক নিহত হয়েছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ভারত সরকারের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি আর বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে।

ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে স্থল পথ, নৌ-পথে যোগাযোগ উন্নয়নে আগ্রহী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামসহ সেভেন সিস্টার রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট বিভাগের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, ভাষা ও সাহিত্য, সংস্কৃতি বিনিময় এবং রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আর এগিয়ে নিতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ আন্তরিক।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তত ১ কোটি মানুষকে তৎকালীন ভারত সরকার আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেন। আসামে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছিলে। যুদ্ধে ভারত সরকার হাজার হাজার সৈন্যসহ সবকিছু দিয়ে সহযোগিতায় করায় তিনি ভারত সরকার এবং তাদের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে গুয়াহাটি মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।

আসামসহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মানুষের জন্য ভিসা সহজ করা হয়েছে। উভয় দেশের মানুষ এখন সহজে ভ্রমণে করতে পারছেন। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে গুয়াহাটি মিশন সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাম সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিল্পী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে সিলেটের জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক নূরুল ইসলাম গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার (মিশন প্রধান) মি. রুহুল আমিনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক উপহার দেন। এসময় সফরসঙ্গী সিলেটের ব্যবসায়ী আবদুর রব তাপাদার, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক শোয়েব উদ্দিন ছাড়াও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে আসামের বিভিন্ন সরকাররি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের গুয়াহাটি মিশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।