০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কথা রাখলেন সিসিক মেয়র

পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন। এনালগ থেকে ডিজিটাল সিটির তকমাও পেয়েছে আউলিয়ার শহর সিলেট। দেশের প্রথম ডিজিটাল এই সিটির বড় সমস্যা ছিল ফুটপাত বেদখল। নগরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ফুটপাত ও সড়ক হকারদের দখলে। পাশাপাশি মূল সড়ক দখল করে ভাসমান ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান বসানোয় এসব স্থান দিয়ে চলতে পথচারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া এসব স্থানে সব সময় যানজট লেগে থাকছে। ফুটপাত বেদখল নিয়ে নগরবাসীর এসব অভিযোগ বেশ পুরনো।

ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখল থেকে ফুটপাত মুক্ত করতে সব নগরপিতাই তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হকারমুক্ত করতে নানা হুংকার-হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমান নগর পিতা মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাঁর ইশতেহারে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সবশেষে আসন্ন রমজানের আগে নগরবাসীকে হকারমুক্ত ফুটপাত উপহার দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি।

এবার সেই কথা রাখলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পঞ্চম নগর পিতা মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বহুল প্রতিক্ষিত ভাসমান ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন কার্যক্রম শুরু হয়েছ। আজ রবিবার সকালে পুনবার্সন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান। নগরভবন লাগোয়া লালদিঘির পাড়ের মাঠে প্রায় সাড়ে ৪ একর জায়গা তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মার্কেট।এই মাকের্টে প্রায় আড়াই হাজার ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানা গেছে। এখানে প্রত্যেক হকারের জন্য ৭ ফুট/৩ ফুট জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

এসময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ব্যবসা করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করেন। তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তিনি বলেন, হকাররা শুধু হকার না, তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, তারা আমাদের ভাই, আমাদের পরিজন তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।

হাকারদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণের মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে হবে, তবেই এখানে ক্রেতারা আসবে। ক্রেতারা আসলে ব্যবসা ভালো হবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে পারবেন। এই মার্কেটের প্রচার সহ সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

মো. আনোয়ারুজ্জমান বলেন, বিগত নির্বাচনে আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা দেখিছেন তার ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। আমি নির্বাচনের সময় হকার সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আজ তার বাস্তাবায়ন করতে যাচ্ছি। পর্যাক্রমে নগরবাসীর বাকী সমস্যারও সমাধান করা হবে। এজন্য তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। পরে মেয়র মার্কেট পরিদর্শন এবং কয়েকটি দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর শান্তুনু দত্ত শন্তু, আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু সহ অনেকে।

বিষয়

কথা রাখলেন সিসিক মেয়র

প্রকাশিত: ০৬:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন। এনালগ থেকে ডিজিটাল সিটির তকমাও পেয়েছে আউলিয়ার শহর সিলেট। দেশের প্রথম ডিজিটাল এই সিটির বড় সমস্যা ছিল ফুটপাত বেদখল। নগরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ফুটপাত ও সড়ক হকারদের দখলে। পাশাপাশি মূল সড়ক দখল করে ভাসমান ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী দোকান বসানোয় এসব স্থান দিয়ে চলতে পথচারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া এসব স্থানে সব সময় যানজট লেগে থাকছে। ফুটপাত বেদখল নিয়ে নগরবাসীর এসব অভিযোগ বেশ পুরনো।

ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখল থেকে ফুটপাত মুক্ত করতে সব নগরপিতাই তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হকারমুক্ত করতে নানা হুংকার-হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমান নগর পিতা মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাঁর ইশতেহারে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সবশেষে আসন্ন রমজানের আগে নগরবাসীকে হকারমুক্ত ফুটপাত উপহার দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি।

এবার সেই কথা রাখলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পঞ্চম নগর পিতা মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বহুল প্রতিক্ষিত ভাসমান ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন কার্যক্রম শুরু হয়েছ। আজ রবিবার সকালে পুনবার্সন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান। নগরভবন লাগোয়া লালদিঘির পাড়ের মাঠে প্রায় সাড়ে ৪ একর জায়গা তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মার্কেট।এই মাকের্টে প্রায় আড়াই হাজার ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারবেন বলে জানা গেছে। এখানে প্রত্যেক হকারের জন্য ৭ ফুট/৩ ফুট জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

এসময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ব্যবসা করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করেন। তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তিনি বলেন, হকাররা শুধু হকার না, তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, তারা আমাদের ভাই, আমাদের পরিজন তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।

হাকারদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণের মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে হবে, তবেই এখানে ক্রেতারা আসবে। ক্রেতারা আসলে ব্যবসা ভালো হবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে পারবেন। এই মার্কেটের প্রচার সহ সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

মো. আনোয়ারুজ্জমান বলেন, বিগত নির্বাচনে আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা দেখিছেন তার ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। আমি নির্বাচনের সময় হকার সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আজ তার বাস্তাবায়ন করতে যাচ্ছি। পর্যাক্রমে নগরবাসীর বাকী সমস্যারও সমাধান করা হবে। এজন্য তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। পরে মেয়র মার্কেট পরিদর্শন এবং কয়েকটি দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর শান্তুনু দত্ত শন্তু, আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু সহ অনেকে।