চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারীকে মারধরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিওমেক)। অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল থেকে কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে কতৃপক্ষ বুঝিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করেছে। তবে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা জানিয়েছেন তাদের দাবী মানা না হলে কাজে যোগ দেবে না।
সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারিছ আলী বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ গেইটে কর্মরত মাহমুদ আলী নামের এক দারোয়ানকে শনিবার রাতে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মারধর করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এই ঘটনার বিচার দাবীতে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ সহ উর্ধতন কর্মকর্তারা তাদেরকে আজ সোমবার সকাল দশটার মধ্যে বিষয়টি নিশ্পত্তি করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির আগে তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানান তিনি।
অভিযোগের সত্যতা জানতে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসভ করেন নি।
এ বিষয়ে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, দুপক্ষের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। দুপক্ষকে যার যার অবস্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।