০২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জালালাবাদ গ্যাসের বিরুদ্ধে ‘নিয়ম বহির্ভূত’ গ্যাস পাইপ তোলার অভিযোগ

সিলেটের ওসমানী নগরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্যাস পাইপ তোলার অভিযোগ উঠেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে। গত দেড় মাসে উপজেলার নাজির বাজার থেকে পশ্চিম গোয়ালাবাজার পর্যন্ত পাইপ উঠিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ৬ লেন রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। ছয় লেনের রাস্তা নির্মান প্রকল্পের আওতায় যতটুকু জায়গা প্রয়োজন তার বাইরে গিয়ে গ্যাসের পাইপ উঠিয়ে নিচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস কতৃপক্ষের ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। তবে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আনহাফ আহমদ বলছেন তারা বৈধভাবে পাইপ উঠিয়ে নিচ্ছেন। অবশ্য পাইপ উঠিয়ে নেয়ার কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, ৬ লেন রাস্তার সীমানার বাইরে গিয়ে তাজপুর কদমতলায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তার দুইটি পাইপ উঠিয়ে নেয় ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান এস.এম হাশেম এন্টারপ্রাইজ। পরবর্তীতে কদমতলা থেকে মুল্লাপাড়া ব্রাক অফিস পর্যন্ত আরও প্রায় ৪শ মিটার পাইপ তুলতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়রা পাইপ তুলার কাজে নিয়োজিত থাকা একটি পিকআপ ও একটি স্কেভেটার (বেকু) আটক করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আর কোন পাইপ উত্তোলন করা হবে না মর্মে স্থানীয়দের কাছে লিখিত দিয়ে আটকে রাখা পিকআপ ও স্কেভেটার ছাড়িয়ে নেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন আহমদ।

এদিকে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন), অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রকৌশলী মো: সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, পাইপ তুলতে গিয়ে যে পরিমান রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা উপজেলা এলজিইডির মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।

অন্যদিকে উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রেকৗশলী এস.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এলজিইডির আইডি ভূক্ত নয়। তাই রাস্তা সংস্কারের দ্বায়িত্ব আমাদের নয়।

বিষয়

জালালাবাদ গ্যাসের বিরুদ্ধে ‘নিয়ম বহির্ভূত’ গ্যাস পাইপ তোলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৭:১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিলেটের ওসমানী নগরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্যাস পাইপ তোলার অভিযোগ উঠেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের বিরুদ্ধে। গত দেড় মাসে উপজেলার নাজির বাজার থেকে পশ্চিম গোয়ালাবাজার পর্যন্ত পাইপ উঠিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ৬ লেন রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। ছয় লেনের রাস্তা নির্মান প্রকল্পের আওতায় যতটুকু জায়গা প্রয়োজন তার বাইরে গিয়ে গ্যাসের পাইপ উঠিয়ে নিচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস কতৃপক্ষের ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। তবে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আনহাফ আহমদ বলছেন তারা বৈধভাবে পাইপ উঠিয়ে নিচ্ছেন। অবশ্য পাইপ উঠিয়ে নেয়ার কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, ৬ লেন রাস্তার সীমানার বাইরে গিয়ে তাজপুর কদমতলায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তার দুইটি পাইপ উঠিয়ে নেয় ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান এস.এম হাশেম এন্টারপ্রাইজ। পরবর্তীতে কদমতলা থেকে মুল্লাপাড়া ব্রাক অফিস পর্যন্ত আরও প্রায় ৪শ মিটার পাইপ তুলতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়রা পাইপ তুলার কাজে নিয়োজিত থাকা একটি পিকআপ ও একটি স্কেভেটার (বেকু) আটক করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আর কোন পাইপ উত্তোলন করা হবে না মর্মে স্থানীয়দের কাছে লিখিত দিয়ে আটকে রাখা পিকআপ ও স্কেভেটার ছাড়িয়ে নেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন আহমদ।

এদিকে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন), অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রকৌশলী মো: সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, পাইপ তুলতে গিয়ে যে পরিমান রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা উপজেলা এলজিইডির মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।

অন্যদিকে উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রেকৗশলী এস.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এলজিইডির আইডি ভূক্ত নয়। তাই রাস্তা সংস্কারের দ্বায়িত্ব আমাদের নয়।