১০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দূসর সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে গিয়ে জড়ো হন। পরে তাঁরা সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সেকশন অফিসার আশরাফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রহমত আলী, কর্মচারীদের মধ্যে আহসান উদ্দিন, মুহাজিরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, আাবু হামজা, তারেক আহমদ ও মনি আক্তার।

বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) স্বৈরশাসক আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা তাঁদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেননি। তাই অনতিবিলম্বে আবারও আমরা তাঁদের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা অভিবাবক ও সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় আজকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিতেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন। এজন্যই পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা এই নৈরাজ্যের অবসান চান।

বিষয়

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০২:২২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দূসর সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে গিয়ে জড়ো হন। পরে তাঁরা সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সেকশন অফিসার আশরাফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রহমত আলী, কর্মচারীদের মধ্যে আহসান উদ্দিন, মুহাজিরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, আাবু হামজা, তারেক আহমদ ও মনি আক্তার।

বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) স্বৈরশাসক আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা তাঁদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেননি। তাই অনতিবিলম্বে আবারও আমরা তাঁদের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা অভিবাবক ও সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় আজকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিতেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন। এজন্যই পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা এই নৈরাজ্যের অবসান চান।