নিয়মবহির্ভূত ও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ পাওয়া সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) স্বৈরাচার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমানের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন। দুপুর একটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সোমবার (১২ আগস্ট) জতীয় একটি দৈনিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান। তিনি পদত্যাগ না করে উল্টো আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। আমরা ঘৃণাভরে তাঁর মনগড়া, বানোয়াট এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। একইসাথে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বেধে দেয়া ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিতেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন। এজন্যই পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা এই নৈরাজ্যের অবসান চান।