এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশ-ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় গুলিতে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩), দত্তরাই গ্রামের মিনহাজ আহমদ (২৬), নিশ্চিন্ত গ্রামের নাজমুল ইসলাম (২২), শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮), তাজ উদ্দিন (৪০) ও গৌছ উদ্দিন (২৯)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বেলা তিনটার দিকে গোলাপগঞ্জ চৌমহনা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা সেখানে আসেন। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও ব্যাপক সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। এসময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পরে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন।