এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন সিলেটে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গুলিতে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন।
নিহতরা হলেন- ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩), উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সেখানে যোগ দিতে ছাত্র-জনতা উপস্থিত হলে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারগ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন এক কিশোর।
এরপর থেকেই নগরীর চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, বারুতখানা, সোবহানীঘাট, নয়াসড়ক, উপশহর, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ক্ষমতাসীনদের সাথে ছাত্র-জনতার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। বিকাল ৪টার দিকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস ও এর পার্শ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। এসময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুটি মোটরসাইকেল ও দুটি জিপ গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরআগে দুপুর দুইটার দিকে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের চন্ডিপুলস্থ অফিসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তরা ১০-১২টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।