০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেট, গুলি-অগ্নিসংযোগ

ছবি- প্রথম আলো (ফাইল)

পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেটের চৌহাট্টা ও আশপাশের এলাকা। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়াগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও ছররা গুলি ছুঁড়ছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

বিকাল ৬টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা।

এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠের সম্মুখ রাস্তা থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট পর্যন্ত গোটা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্র-জনতা। এসময় বিক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন।

বিকেল ৫টার দিকে নগরের আম্বরখানার দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাপক টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও ছররা গুলি ছুঁড় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

এদিকে বেলা তিনটার দিকে নগরের দরগাহ গেট এলাকার নুরজাহান হসপিটালের সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ওই এলাকার মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এরপর সেই রাস্তা দিয়ে চৌহাট্টাগামী শিক্ষর্থীদের বাধা দেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দরগাহ গেট এলাকার দিকে আসতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। একপর্যায়ে পিছু হটেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীরা আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুঁড়ে থাকে। এতে আমাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমরা ছরার গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছি।

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেট, গুলি-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সিলেটের চৌহাট্টা ও আশপাশের এলাকা। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়াগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও ছররা গুলি ছুঁড়ছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

বিকাল ৬টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা।

এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠের সম্মুখ রাস্তা থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট পর্যন্ত গোটা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্র-জনতা। এসময় বিক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন।

বিকেল ৫টার দিকে নগরের আম্বরখানার দিক থেকে আসা একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাপক টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও ছররা গুলি ছুঁড় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

এদিকে বেলা তিনটার দিকে নগরের দরগাহ গেট এলাকার নুরজাহান হসপিটালের সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ওই এলাকার মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এরপর সেই রাস্তা দিয়ে চৌহাট্টাগামী শিক্ষর্থীদের বাধা দেন তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দরগাহ গেট এলাকার দিকে আসতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। একপর্যায়ে পিছু হটেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীরা আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুঁড়ে থাকে। এতে আমাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমরা ছরার গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছি।