০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীর সেজে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জে ‘পীর’ সেজে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ধোঁকা দিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার নাম আব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। জেলার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, ২০১৮ সালে ফটিক ছড়ির একটি মাজারে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। কাইয়ুম ওই নারীর ‘পীর ভাই’ সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হতে পারে এবং দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন। পরে বাড়িসহ আরও জায়গা বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ চলে আসেন।

কিছুদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বসবাস করতে থাকেন। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫ জুন তিনি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।

বিষয়

পীর সেজে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জে ‘পীর’ সেজে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ধোঁকা দিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার নাম আব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। জেলার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, ২০১৮ সালে ফটিক ছড়ির একটি মাজারে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। কাইয়ুম ওই নারীর ‘পীর ভাই’ সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হতে পারে এবং দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন। পরে বাড়িসহ আরও জায়গা বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ চলে আসেন।

কিছুদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বসবাস করতে থাকেন। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫ জুন তিনি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।