০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাহুবলে সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ৬টি বসতঘরে আগুন

হবিগঞ্জের বাহুবলে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় কামারগাঁওয়ে ৬টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও চেরাগ আলী পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, কামারগাঁওয়ে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে ফারুক মিয়া ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউসুফদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাস খানেক আগে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সবশেষ ইউসুফ মিয়া ও তার ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন লাভ করেন।

এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশন এলাকায় পুনরায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিষয়টির জের ধরে রাত ১০টায় ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এই ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ জন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানেও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়।

রাতে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করে। পরে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি  ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়

বাহুবলে সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ৬টি বসতঘরে আগুন

প্রকাশিত: ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

হবিগঞ্জের বাহুবলে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় কামারগাঁওয়ে ৬টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও চেরাগ আলী পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, কামারগাঁওয়ে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা নিয়ে ফারুক মিয়া ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউসুফদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাস খানেক আগে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সবশেষ ইউসুফ মিয়া ও তার ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন লাভ করেন।

এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশন এলাকায় পুনরায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিষয়টির জের ধরে রাত ১০টায় ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এই ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ জন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানেও দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়।

রাতে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করে। পরে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি  ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।