০৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাবিপ্রবি সমন্বয়ক গাল

বায়েজিদ কোটা আন্দেলনের সমন্বয়কারী ছিলেন না, তিনি ছাত্রলীগের কর্মী

ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া

কোটা আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন আখ্যা দিয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব ছাড়লেন সিলেট অঞ্চলের সহ সমন্বয়ক নূর মো. বায়েজীদ। এমন একটি সংবাদ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিলেটে খবর চাউর হয়। কয়েকটি গণমাধেমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশও হয়। বায়েজীদ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

তবে,‘পদত্যাগ’ দাবি করা নুর মোহাম্মদ বায়েজিদ সমন্বয়কারী টিমের তালিকায় ছিলেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বরং আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা, গুজব ছড়িয়ে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করছেন বায়েজিদ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, নূর মো. বাইজিদ নামে শাবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, নূর মো. বাইজিদ কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো ধরনের সহ সমন্বয়ক কিংবা সাস্টের কোনো সমন্বয়ক এর দায়িত্বে ছিল না।

তিনি আরও বলেন, শাবিপ্রবিতেও আমরা কোনো কমিটি এখন পর্যন্ত করিনি বিধায় শাবিপ্রবিতে তার মতো উশৃংখলের সমন্বয়ক হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে সে (বায়েজিদ) শাবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মী, সে শুরু থেকে আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল, নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে একাধিকবার, তার বিরুদ্ধে অনলাইনে মেয়েদের উত্যক্ত করার একাধিক অভিযোগ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

বায়েজিদের আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ছাত্রলীগের প্ররোচনায় শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে সে এই মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, তার (বায়েজিদ) আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যই ছিলো আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

তবে, আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন সময় মাইক হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় বায়েজিদকে। এছাড়া আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম সারিতে ছিলেন এই ছাত্রলীগ কর্মী।

এর অগে বর্তমান ‌‌‌‌’কোটা সংস্কার’ আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন নূর মো. বায়েজীদ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের একজন সংক্রিয় কর্মী।

নূর মো. বায়জিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মেধার মূল্য না কোনো দিন ছিল, না আছে, থাকবে কি না সেটাও জানি না। এই দেশ সারাজীবন টাকা-ক্ষমতা-পাচাটাদের হাতেই বন্দি ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি এই বিশ্বাস নিয়ে আন্দোলনে এসেছিলাম যে, সকল প্রকার দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশের সকল সাধারণ ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু, ইদানিং আমার সমন্বয়ক কমিটির কিছু বন্ধুসহ, শাবিপ্রবিতে আমার আন্দোলনের সাথে থাকা অনেক সহকর্মীদের কথাবার্তায় আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, তারা এই আন্দোলনে এসেও তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা বজায় রেখে সরকারবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে যাচ্ছে।

তাই, আমি সজ্ঞানে, চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমি আর এই আন্দোলনের সাথে নেই। অবশেষে, ১৯৫২ সালের ভাষাশহিদ এবং ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ এবং গাজী হওয়া সকলকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমি এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগ কর্মী নুর মোহাম্মদ বায়েজিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

শাবিপ্রবি সমন্বয়ক গাল

বায়েজিদ কোটা আন্দেলনের সমন্বয়কারী ছিলেন না, তিনি ছাত্রলীগের কর্মী

প্রকাশিত: ০৭:০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন আখ্যা দিয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব ছাড়লেন সিলেট অঞ্চলের সহ সমন্বয়ক নূর মো. বায়েজীদ। এমন একটি সংবাদ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিলেটে খবর চাউর হয়। কয়েকটি গণমাধেমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশও হয়। বায়েজীদ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

তবে,‘পদত্যাগ’ দাবি করা নুর মোহাম্মদ বায়েজিদ সমন্বয়কারী টিমের তালিকায় ছিলেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বরং আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা, গুজব ছড়িয়ে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করছেন বায়েজিদ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, নূর মো. বাইজিদ নামে শাবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, নূর মো. বাইজিদ কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো ধরনের সহ সমন্বয়ক কিংবা সাস্টের কোনো সমন্বয়ক এর দায়িত্বে ছিল না।

তিনি আরও বলেন, শাবিপ্রবিতেও আমরা কোনো কমিটি এখন পর্যন্ত করিনি বিধায় শাবিপ্রবিতে তার মতো উশৃংখলের সমন্বয়ক হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে সে (বায়েজিদ) শাবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী, সে একজন ছাত্রলীগ কর্মী, সে শুরু থেকে আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল, নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে একাধিকবার, তার বিরুদ্ধে অনলাইনে মেয়েদের উত্যক্ত করার একাধিক অভিযোগ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

বায়েজিদের আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ছাত্রলীগের প্ররোচনায় শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে সে এই মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, তার (বায়েজিদ) আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যই ছিলো আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

তবে, আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন সময় মাইক হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় বায়েজিদকে। এছাড়া আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম সারিতে ছিলেন এই ছাত্রলীগ কর্মী।

এর অগে বর্তমান ‌‌‌‌’কোটা সংস্কার’ আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন নূর মো. বায়েজীদ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের একজন সংক্রিয় কর্মী।

নূর মো. বায়জিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মেধার মূল্য না কোনো দিন ছিল, না আছে, থাকবে কি না সেটাও জানি না। এই দেশ সারাজীবন টাকা-ক্ষমতা-পাচাটাদের হাতেই বন্দি ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি এই বিশ্বাস নিয়ে আন্দোলনে এসেছিলাম যে, সকল প্রকার দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশের সকল সাধারণ ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু, ইদানিং আমার সমন্বয়ক কমিটির কিছু বন্ধুসহ, শাবিপ্রবিতে আমার আন্দোলনের সাথে থাকা অনেক সহকর্মীদের কথাবার্তায় আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, তারা এই আন্দোলনে এসেও তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা বজায় রেখে সরকারবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে যাচ্ছে।

তাই, আমি সজ্ঞানে, চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমি আর এই আন্দোলনের সাথে নেই। অবশেষে, ১৯৫২ সালের ভাষাশহিদ এবং ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ এবং গাজী হওয়া সকলকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমি এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগ কর্মী নুর মোহাম্মদ বায়েজিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।