১১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু জেল না, আওয়ামী লীগের অনেকের ফাঁসিও হবে: রেজা কিবরিয়া

ড. রেজা কিবরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

‘আগামী ৭ জানুয়ারি হলো আওয়ামী লীগের মরণ ঘণ্টা। ২০২৪ সালে দেশের অগ্রগতির সূচনা হবে। আওয়ামী লীগের সবাই কাঁদবে। গ্রামে গ্রামে তাদের জনগণ পুকুরে চুবাবে। তখন এরা বলবে, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, শীতকালে কেন এ ইলেকশন করতে গেলেন! তবে আমরা জনগণকে বলবো, আপনারা বিষাক্ত মানুষদের চুবিয়ে পুকুরের পানি নষ্ট করবেন না। আইনের শাসন ফেরত এলে তাদের বিচার হবে। শুধু জেল না, অনেকের ফাঁসিও হবে।’

শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) আয়োজিত ‘কারারুদ্ধ বাংলাদেশ: ডামি নির্বাচনের ফাঁদ ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক সর্বদলীয় আলোচনা সভায় ড. রেজা কিবরিয়া এসব কথা বলেন।

রেজা কিবরিয়া বলেন, যারা স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চান, সামনের বছর অনেক ভালো যাবে আমাদের। উনাদের মনে অনেক কষ্ট। জনগণের টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। তারপরও তারা (আমেরিকা-ইউরোপ) প্রশ্ন করে এর উৎস কী? গরিব মানুষের চুরি করা টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। টাকা দিয়ে অনেককে ম্যানেজ করা যায়, আমেরিকাকে ম্যানেজ করা যায় না। চোরদের আমেরিকানরা সম্মান করে না। পাচার করে যে টাকা নিয়ে গেছে তা বাজেয়াপ্ত হবে এবং সামনে যে নতুন সরকার আসবে তারা ফেরত আনবে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশটা সম্ভাবনাময়। এজন্য আমি ফেরত এসেছি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিনও আমেরিকায় সিটিজেনশিপ নিয়েছে। আমি নেইনি। আমার বাবার হত্যার পর থেকে আমাকে অনেক সুবিধা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু আমি নেইনি। আমি আওয়ামী লীগকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। এত নিম্নমানের নেতৃত্ব এরা দিয়েছে। আমার দেশের মত একটা সোনালি দেশকে নিম্নশ্রেণির চোররা দখল করে রেখেছে। ২০২৪ সালে নতুনভাবে শুরু হবে। ভালো নেতৃত্বের কারণে একটা দেশ অনেক দূর যেতে পারে। আমরাও পারবো। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর না। আসুন শপথ নেই। রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনবো। আপনারা দেখেন ৭ তারিখের পর কী ঘটে। জনগণ কীভাবে এদের প্রত্যাখ্যান করে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলাইমান চৌধুরী, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান এসময় বক্তব্য দেন।

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা জজ (অব.) শামসুল ইসলাম, ব্রি. জে. (অব.) হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, আরিফুর রহমান তুহিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান প্রমুখ।

সূত্র : জাগো নিউজ

বিষয়

শুধু জেল না, আওয়ামী লীগের অনেকের ফাঁসিও হবে: রেজা কিবরিয়া

প্রকাশিত: ০১:০০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

‘আগামী ৭ জানুয়ারি হলো আওয়ামী লীগের মরণ ঘণ্টা। ২০২৪ সালে দেশের অগ্রগতির সূচনা হবে। আওয়ামী লীগের সবাই কাঁদবে। গ্রামে গ্রামে তাদের জনগণ পুকুরে চুবাবে। তখন এরা বলবে, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, শীতকালে কেন এ ইলেকশন করতে গেলেন! তবে আমরা জনগণকে বলবো, আপনারা বিষাক্ত মানুষদের চুবিয়ে পুকুরের পানি নষ্ট করবেন না। আইনের শাসন ফেরত এলে তাদের বিচার হবে। শুধু জেল না, অনেকের ফাঁসিও হবে।’

শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) আয়োজিত ‘কারারুদ্ধ বাংলাদেশ: ডামি নির্বাচনের ফাঁদ ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক সর্বদলীয় আলোচনা সভায় ড. রেজা কিবরিয়া এসব কথা বলেন।

রেজা কিবরিয়া বলেন, যারা স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চান, সামনের বছর অনেক ভালো যাবে আমাদের। উনাদের মনে অনেক কষ্ট। জনগণের টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। তারপরও তারা (আমেরিকা-ইউরোপ) প্রশ্ন করে এর উৎস কী? গরিব মানুষের চুরি করা টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। টাকা দিয়ে অনেককে ম্যানেজ করা যায়, আমেরিকাকে ম্যানেজ করা যায় না। চোরদের আমেরিকানরা সম্মান করে না। পাচার করে যে টাকা নিয়ে গেছে তা বাজেয়াপ্ত হবে এবং সামনে যে নতুন সরকার আসবে তারা ফেরত আনবে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশটা সম্ভাবনাময়। এজন্য আমি ফেরত এসেছি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিনও আমেরিকায় সিটিজেনশিপ নিয়েছে। আমি নেইনি। আমার বাবার হত্যার পর থেকে আমাকে অনেক সুবিধা দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ, কিন্তু আমি নেইনি। আমি আওয়ামী লীগকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। এত নিম্নমানের নেতৃত্ব এরা দিয়েছে। আমার দেশের মত একটা সোনালি দেশকে নিম্নশ্রেণির চোররা দখল করে রেখেছে। ২০২৪ সালে নতুনভাবে শুরু হবে। ভালো নেতৃত্বের কারণে একটা দেশ অনেক দূর যেতে পারে। আমরাও পারবো। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর না। আসুন শপথ নেই। রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ফিরিয়ে আনবো। আপনারা দেখেন ৭ তারিখের পর কী ঘটে। জনগণ কীভাবে এদের প্রত্যাখ্যান করে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলাইমান চৌধুরী, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান এসময় বক্তব্য দেন।

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা জজ (অব.) শামসুল ইসলাম, ব্রি. জে. (অব.) হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, আরিফুর রহমান তুহিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান প্রমুখ।

সূত্র : জাগো নিউজ