দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার থেকে বিরত থাকতে দেশের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এছাড়া এই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে দলটি। এছাড়াও নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির লাখো নেতাকর্মী। আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচারে আদালতের স্বাধীনতা সরকার কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্রের স্যাটেলাইট স্টেট করার চক্রান্ত চলছে। এই ভয়াবহ অনিশ্চিত, অন্ধকারময় সময়ে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ে প্রাণপণ লড়াই করছে বিএনপিসহ দেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। গত দেড় দশকের মতোই আগামী ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা আরও একটি পাতানো ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছে।
রিজভী বলেন, আমি বিএনপিসহ সব আন্দোলনরত দল-মত জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি যে, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আজ থেকে এ সরকারকে সবধরনের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি এই মুহূর্ত থেকে বর্তমান সরকারকে আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।
রিজভীর তুলে ধরা আহবানের মধ্যে রয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ জানুয়ারির বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণগণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে সব ধরণের ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো এই অবৈধ সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম। সুতরা, ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।
সূত্র : ঢাকাপোস্ট