জাতীয় পার্টিকে ২৬টিসহ শরিকদের মোট ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মিত্রদের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করছি আমরা। আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫টি আসনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছি। বাকিগুলোতে আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন।
৩২ আসনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, মো. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
বগুড়া-৫ আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা (ওয়ার্কার্স পার্টি), কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু (জাসদ), বরিশাল-২ আসনে রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি), পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জাতীয় পার্টি মঞ্জু) ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশারফ হোসেন (জাসদ) প্রার্থী হচ্ছেন।
এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০মিনিটে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।