পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনায় দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী একটি জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সবকিছু উজাড় করে দেয়া শেখ হাসিনা সরকারকে জোড়াতালির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটিজঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ের মতো আগামী ৭ জানুয়ারির ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থকরার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমগ্র দেশের আপামর জনসাধারণকে জিম্মি করে রেখেছে অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার নাকরে তাদের পার্শবর্তী দেশের নির্দেশনায় জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করে সাধারণ জনগণের মৌলিক অধিকার-ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, শুধু ফ্যাসিস্ট রক্তপিপাসু সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে এ দেশের ইসলামপ্রিয় আলেম ওলামাদের বহিঃবিশ্বে জঙ্গী হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আহ্বান করছি আপনারা শেখ হাসিনা ও তাঁরপ্রভুদের প্রপাগান্ডাকে বিশ্বাস না করে আওয়ালীগের একতরফা সাজানো ডামি নির্বাচন নিয়ে স্বোচ্চার হোন এবং এদেশের জনগণের একান্ত চাওয়া গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।
রিজভী বলেন, আওয়ামীলীগ ২০১৪ সালে বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতিকরে ক্ষমতায় আসলেও এবার আর কোনো রাখ-ঢাকনেই তাদের। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে প্রকাশ্যে আসন বাটোয়ারা করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। গোটা দেশ গোল্লায় যাচ্ছে সেদিকে ন্যূনতম ভ্রূক্ষেপ নেই। তার পরিষদবর্গ-দলদাস-আজ্ঞাবহরা ব্যস্ত কিভাবে পাতানো নির্বাচনী ম্যাচ খেললে জনগণ এবং বিদেশিদের চোখে ধুলো দেয়া যাবে। একদল উচ্চ শিক্ষিত তথাকথিত আত্মা ও ব্যক্তিত্ব বিক্রি করা বুদ্ধিজীবি ব্যস্ত আছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র সকল দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থের বিনিময়ে খরিদ করা “কুইন্স পার্টি”, ভূঁইফোড় পার্টি-তৃনভোজী পার্টি-ডামি পার্টি-খুঁদকুঁড়ো পার্টি এবং বিভিন্ন দল থেকে অচ্ছুত লোকজন হায়ার করে নিয়ে কথিত নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করার তামাশায় কেউ কোনো প্রক্রিয়ায় অংশ নিবেন না। ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট দিবেন না। ‘আমরা আর মামুরা’ মার্কা এই নির্বাচনের প্রার্থী বা তাদের পক্ষভুক্তদের সংশর্ব ত্যাগ করুন। বিএনপি বা অঙ্গ সংঠনের কোনো পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মী যদি এই ভূয়া নির্বাচন এবং কোনো প্রার্থীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, প্রচার প্রচারণায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণ-সমর্থন বা ভোট প্রদান কেন্দ্রীক কর্মকাণ্ডে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোরতর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : ঢাকাটাইমস