১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজভী বললেন দেশে ‘নিস্তব্ধ’ পরিবেশ বিরাজ করছে

কবরের মধ্যে যে নিরব, নিস্তব্ধ পরিবেশ- সেইরকম অবস্থা সরকার দেশে সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রবিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের মত করে করার জন্য কবরের মধ্যে যে নিরবতা নিস্তব্ধ পরিবেশ সেইরকম অবস্থা দেশে বজায় রেখে সরকার সারাদেশে খেয়াল খুশিমত গণগ্রেপ্তার করছে। এর একটিই কারণ, ভীতি সৃষ্টি করা, ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা- যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে না যায়। শেখ হাসিনার ভোটারদের দরকার নেই। তার দরকার ভীতি আতঙ্ক। কবরের মধ্যে যে নিস্তব্ধতা সেই নিস্তব্ধতা সারা দেশে জারি করে রাখতে চায়।

রিজভী বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির এই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে। হবিগঞ্জে, নারায়ণগঞ্জে আদালতের পাশে বিএনপির মানববন্ধন শুরু হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা পুলিশ ডেকে এনে হামলা চালিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বৈশিষ্ট্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবেন ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসলো তখন সারা দেশে জ্বালাপোড়াও করেনি? বিদেশীদের সঙ্গে বৈঠক করেননি? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিএনপিকে যাতে স্বীকৃতি না দেওয়া হয় সেজন্য শেখ হাসিনা বিদেশীদেরকে বলেননি?

তিনি বলেন, সরকার মনে করেছিল জুলুম নির্যাতন ভয়-ভীতি দেখিয়ে জাতীয়বাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখবে। এত কিছুর পরেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে জনগণের ঢল নেমেছিল। জনগণ বুক ফুলিয়ে বিএনপি’র মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে। সারাদেশে গণগ্রেপ্তারের মধ্যেও প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে যদিও বাধা দিয়েছে হামলা করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিষয়

রিজভী বললেন দেশে ‘নিস্তব্ধ’ পরিবেশ বিরাজ করছে

প্রকাশিত: ০৪:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কবরের মধ্যে যে নিরব, নিস্তব্ধ পরিবেশ- সেইরকম অবস্থা সরকার দেশে সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রবিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের মত করে করার জন্য কবরের মধ্যে যে নিরবতা নিস্তব্ধ পরিবেশ সেইরকম অবস্থা দেশে বজায় রেখে সরকার সারাদেশে খেয়াল খুশিমত গণগ্রেপ্তার করছে। এর একটিই কারণ, ভীতি সৃষ্টি করা, ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা- যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে না যায়। শেখ হাসিনার ভোটারদের দরকার নেই। তার দরকার ভীতি আতঙ্ক। কবরের মধ্যে যে নিস্তব্ধতা সেই নিস্তব্ধতা সারা দেশে জারি করে রাখতে চায়।

রিজভী বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির এই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে। হবিগঞ্জে, নারায়ণগঞ্জে আদালতের পাশে বিএনপির মানববন্ধন শুরু হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা পুলিশ ডেকে এনে হামলা চালিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বৈশিষ্ট্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবেন ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসলো তখন সারা দেশে জ্বালাপোড়াও করেনি? বিদেশীদের সঙ্গে বৈঠক করেননি? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিএনপিকে যাতে স্বীকৃতি না দেওয়া হয় সেজন্য শেখ হাসিনা বিদেশীদেরকে বলেননি?

তিনি বলেন, সরকার মনে করেছিল জুলুম নির্যাতন ভয়-ভীতি দেখিয়ে জাতীয়বাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখবে। এত কিছুর পরেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে জনগণের ঢল নেমেছিল। জনগণ বুক ফুলিয়ে বিএনপি’র মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে। সারাদেশে গণগ্রেপ্তারের মধ্যেও প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে যদিও বাধা দিয়েছে হামলা করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।