১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ১

ছবি: প্রতীকী

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চা বাগানে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে আলাল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা-বাগানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালেহ আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাত দলের তিন সদস্যকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

নিহত আলাল মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে। আটকরা হলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের সেজুল মিয়া (৩৭), শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেক (৪১) ও জাসিম মিয়া ওরফে জসিম (৩৮)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শামীম আকনজী গণপিটুনিতে একজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ বলেন, শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল তার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা পেটালে চা শ্রমিকেরা ডাকাতদের ঘেরাও করেন। এ সময় ডাকাতেরা হামলা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আলাল মিয়া মারা যান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপাড় গ্রামের সেজুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে চারজন পালিয়ে গেলেও সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়। পরে আজ রোববার সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের জাসিম মিয়া ওরফে জসিমকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন চা শ্রমিকেরা। পুলিশ আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৮:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চা বাগানে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে আলাল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা-বাগানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছালেহ আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাত দলের তিন সদস্যকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে।

নিহত আলাল মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে। আটকরা হলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের সেজুল মিয়া (৩৭), শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেক (৪১) ও জাসিম মিয়া ওরফে জসিম (৩৮)।

রোববার (২৪ নভেম্বর) কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শামীম আকনজী গণপিটুনিতে একজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ বলেন, শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল তার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা পেটালে চা শ্রমিকেরা ডাকাতদের ঘেরাও করেন। এ সময় ডাকাতেরা হামলা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আলাল মিয়া মারা যান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপাড় গ্রামের সেজুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে চারজন পালিয়ে গেলেও সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়। পরে আজ রোববার সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের জাসিম মিয়া ওরফে জসিমকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন চা শ্রমিকেরা। পুলিশ আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।