০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারকে ধ্বংস করছে জান্তা সরকার: জাতিসংঘ

ছবি-সংগৃহীত

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

চীনের মধ্যস্থতায় এ বছরের জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেয়া হলেও সেটি জান্তার সদিচ্ছার অভাবে ভেস্তে গেছে। খবর আরব নিউজের।

জাতিসংঘ বলছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। জান্তা যেভাবে সাধারণ জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে তাতে দেশটি এখন নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্রগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

২০২১ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপরই দেশটিতে সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে সাধারণ জনগণ। জোট গঠন করে তার সেনাদের বিভিন্ন রাজ্যে ইতোমধ্যে পরাজিত করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কাছে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জান্তা ক্রমেই দেশটির ওপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। তাদের বহু সেনা হতাহত হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই জান্তার পরাজয়।’

টম আরো বলেন, ‘জান্তা ক্রমেই ধ্বংসাত্মক আচরণ করছে। গত ৬ মাসে দেশটিতে স্কুল, হাসপাতাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জান্তা দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মেতেছে।

জান্তাবিরোধী জোট কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর এই সপ্তাহের শুরুতে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মহাসড়ক ও এর পার্শ্ববর্তী শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জুনের শেষের দিকে যুদ্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালায়।

পরে চলমান সংঘর্ষ বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এলেও সেটি নাকচ করে দিয়েছে আরাকান আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সমন্বিত জোট।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


 

মিয়ানমারকে ধ্বংস করছে জান্তা সরকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৪:১৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

চীনের মধ্যস্থতায় এ বছরের জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেয়া হলেও সেটি জান্তার সদিচ্ছার অভাবে ভেস্তে গেছে। খবর আরব নিউজের।

জাতিসংঘ বলছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। জান্তা যেভাবে সাধারণ জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে তাতে দেশটি এখন নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্রগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

২০২১ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপরই দেশটিতে সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে সাধারণ জনগণ। জোট গঠন করে তার সেনাদের বিভিন্ন রাজ্যে ইতোমধ্যে পরাজিত করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কাছে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জান্তা ক্রমেই দেশটির ওপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। তাদের বহু সেনা হতাহত হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই জান্তার পরাজয়।’

টম আরো বলেন, ‘জান্তা ক্রমেই ধ্বংসাত্মক আচরণ করছে। গত ৬ মাসে দেশটিতে স্কুল, হাসপাতাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জান্তা দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মেতেছে।

জান্তাবিরোধী জোট কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর এই সপ্তাহের শুরুতে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মহাসড়ক ও এর পার্শ্ববর্তী শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জুনের শেষের দিকে যুদ্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালায়।

পরে চলমান সংঘর্ষ বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এলেও সেটি নাকচ করে দিয়েছে আরাকান আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সমন্বিত জোট।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে