০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন দেশের লাগাম টানতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট। আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি রোধেও এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় তিন দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে। এর আওতায় প্রায় ২০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মস্কোর অস্ত্র কেনাবেচা ও ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট বেলজিয়াম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতরা ১৩তম নিষেধাজ্ঞার মূলনীতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ইইউর এ অনুমোদনকে বিস্তীর্ণ অনুমোদন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইইউর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না।

সূত্রটি জানিয়েছে, নতুন এ তালিকায় রাশিয়ার সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউক্রেন থেকে শিশুদের পাচার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের একটি করে প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এর আগে গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌশুলি বলেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়া কয়েকশ এতিম শিশুকে অনথালয় এবং কেয়ার হোম থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া অনেককে দত্তকও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইসিসি ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিযুক্ত করে আসছে। এটিকে তারা যুদ্ধাপরাধ বলেও উল্লেখ করে আসছে। তবে মস্কো এ অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরাপদ রাখতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া চার হাজারের বেশি শিশুকে সরিয়ে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক ক্রয়বিক্রয় বিশেষত ড্রোন তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অ্যানেক্স-৪ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৭টি কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে দ্বিতীয়বার ব্যবহৃত পণ্য বিক্রয় করতে পারবে না কোনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান।

সূত্রটি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় পড়া এ তালিকায় তিনটি চীনা ও একটি হংকংভিত্তিক কোম্পানি রয়েছে। এছাড়া প্রায় সবই রাশিয়ান কোম্পানি।

বিষয়

৩ দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৭:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিভিন্ন দেশের লাগাম টানতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জোট। আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি রোধেও এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় তিন দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে। এর আওতায় প্রায় ২০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মস্কোর অস্ত্র কেনাবেচা ও ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট বেলজিয়াম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতরা ১৩তম নিষেধাজ্ঞার মূলনীতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ইইউর এ অনুমোদনকে বিস্তীর্ণ অনুমোদন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ইইউর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না।

সূত্রটি জানিয়েছে, নতুন এ তালিকায় রাশিয়ার সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউক্রেন থেকে শিশুদের পাচার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকায় উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের একটি করে প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এর আগে গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌশুলি বলেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়া কয়েকশ এতিম শিশুকে অনথালয় এবং কেয়ার হোম থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া অনেককে দত্তকও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইসিসি ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিযুক্ত করে আসছে। এটিকে তারা যুদ্ধাপরাধ বলেও উল্লেখ করে আসছে। তবে মস্কো এ অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরাপদ রাখতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া চার হাজারের বেশি শিশুকে সরিয়ে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক ক্রয়বিক্রয় বিশেষত ড্রোন তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অ্যানেক্স-৪ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৭টি কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে দ্বিতীয়বার ব্যবহৃত পণ্য বিক্রয় করতে পারবে না কোনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান।

সূত্রটি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় পড়া এ তালিকায় তিনটি চীনা ও একটি হংকংভিত্তিক কোম্পানি রয়েছে। এছাড়া প্রায় সবই রাশিয়ান কোম্পানি।