নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্যে একসঙ্গে ১২ মামলায় জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৯ মে দাঙ্গার ঘটনায় দায়ের করা ১২টি পৃথক মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন দেশটির একটি আদালত। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিও।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের জামিন মঞ্জুর করেন সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ। এর আগে, একই মামলায় আওয়ামী মুসলিম লীগের (এএমএল) প্রধান শেখ রশিদ আহমেদের জামিন মঞ্জুর ও মুক্তির আদেশ দেন আদালত।
এদিন ইমরান খান এবং শাহ মাহমুদ কোরেশির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পিটিআইয়ের আইনজীবী শিরাজ আহমেদ রাঞ্জা।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে (জিএইচকিউ) হামলা মামলায় গত ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় কোরেশিকে। পরে ৯ মে’র সেই সহিংস বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও ১২ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় তাকে। আর জিএইচকিউ হামলা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার দেখানো হয় গত ৯ জানুয়ারি।
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত এ প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের পর গত বছরের ৯ মে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনের সহিংসতা ও সামরিক স্থাপনায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পিটিআইর শত শত কর্মী এবং জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে দুর্বৃত্তরা রাওয়ালপিন্ডিতে জিন্নাহ হাউস এবং সেনা সদরদপ্তরসহ বেশ কিছু সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। সামরিক বাহিনী ৯ মে’কে ‘কালো দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং সামরিক আইনের অধীনে অভিযুক্তদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র: জিও নিউজ