০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে খাচ্ছেন গাজার মানুষ

বেসরকাররি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশনএইড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষ খাবারের এতটাই অভাবে পড়েছেন যে— তারা এখন পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে সেগুলো দিয়ে আটা তৈরি করে খাচ্ছেন। সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ অতি নিকটে রয়েছে।

নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, গাজায় খাদ্যের অভাব ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতিতে পৌঁছাচ্ছে।

‘গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেকে এখন তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। কেউ কেউ খাবারের জন্য এতটাই মরিয়া যে তারা এখন পশুপাখির খাবার গুড়া করে সেগুলো আটা হিসেবে ব্যবহার করছেন। গাজায় দুর্ভিক্ষ চোখ রাঙানি দিচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন।’

বিশ্ব খাদ্য পোগ্রাম জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু রয়েছে; তারা কেউ পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না। যা তাদের বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত এবং দীর্ঘকালীন শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। শিশুদের পাশপাশি মায়েরাও পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। কিছু মা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় দুগ্ধজাত শিশুদের দুধও পান করাতে পারছেন না।

ছয় সন্তানের এক মা— যিনি চলমান যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর আরেকটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন— তিনি জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন না হওয়ায় এবং বাজারের খোলা দুধের দাম বেশি হওয়ায় তিনি তার সন্তানকে এখন দুধও দিতে পারছেন না। বর্তমানে এক কৌটা দুধের দাম ৭০ থেকে ৮০ শেকেল।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে খাচ্ছেন গাজার মানুষ

প্রকাশিত: ০৪:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

বেসরকাররি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশনএইড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষ খাবারের এতটাই অভাবে পড়েছেন যে— তারা এখন পশুপাখির খাবার গুঁড়া করে সেগুলো দিয়ে আটা তৈরি করে খাচ্ছেন। সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ অতি নিকটে রয়েছে।

নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, গাজায় খাদ্যের অভাব ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতিতে পৌঁছাচ্ছে।

‘গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেকে এখন তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। কেউ কেউ খাবারের জন্য এতটাই মরিয়া যে তারা এখন পশুপাখির খাবার গুড়া করে সেগুলো আটা হিসেবে ব্যবহার করছেন। গাজায় দুর্ভিক্ষ চোখ রাঙানি দিচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন।’

বিশ্ব খাদ্য পোগ্রাম জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু রয়েছে; তারা কেউ পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না। যা তাদের বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত এবং দীর্ঘকালীন শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। শিশুদের পাশপাশি মায়েরাও পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। কিছু মা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় দুগ্ধজাত শিশুদের দুধও পান করাতে পারছেন না।

ছয় সন্তানের এক মা— যিনি চলমান যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর আরেকটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন— তিনি জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন না হওয়ায় এবং বাজারের খোলা দুধের দাম বেশি হওয়ায় তিনি তার সন্তানকে এখন দুধও দিতে পারছেন না। বর্তমানে এক কৌটা দুধের দাম ৭০ থেকে ৮০ শেকেল।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান