ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত একক হামলায় কমপক্ষে ২১ সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, কিসুফিম সীমান্তের কাছে হামাসের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টাকারী সৈন্যদের ওপর হামলা চালায় গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, হামাস যোদ্ধারা একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে রকেট চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, একই সাথে একটি বিস্ফোরণের ফলে দুটি দ্বিতল ভবন ধসে পড়ে। নিহত সৈন্যরা ধসে পড়া ভবনগুলোর ভিতরে এবং কাছাকাছি ছিল। যদিও সেই বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে নিহত ১০ জন সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, বাকি ১১ জনের পরিবারকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১৯ হনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েরি সেনাবাহিনীর মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অন্যদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২৫ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সময়ে হামলায় আরও ৬৩ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু