গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তার এই কথার সঙ্গে একমত নয় ওয়াশিংটন। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতোই দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়’ উপলব্ধি না করা পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল। যুদ্ধের পর ফিলিস্তিন স্বাধীনতা পাবে কি না সে বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে ইসরায়েলের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>> গাজা যুদ্ধের ১০০ দিন, যুদ্ধবিরতির পক্ষে দেশে দেশে বিক্ষোভ
নেতানিয়াহু বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমাঞ্চলের সব ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এটি সার্বভৌমত্বের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আপনি কী-ই বা করতে পারেন?
তিনি বলেন, [ইসরায়েলি] প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের বন্ধুদের না বলতে সক্ষম হতে হবে।
আরও পড়ুন >> অবশেষে গাজায় ওষুধ-মানবিক সহায়তা পৌঁছাল
যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত
যদিও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। তবে তারা ইসরায়েলকে গাজায় আক্রমণের তীব্রতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত।
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেছেন, যুদ্ধের পরে গাজায় আবারও দখলদারি চলবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে এখন একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ধারণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ এ অঞ্চলের দেশগুলো তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন >> গাজায় নিহত ২৪ হাজার ছাড়াল
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলের স্থায়ী নিরাপত্তার দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ এবং গাজার পুনর্গঠন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বল্পমেয়াদী চ্যালেঞ্জ সমাধানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ইস্যুতে মতবিরোধ থাকলেও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এ মার্কিন কর্মকর্তা।
সূত্র: আল-জাজিরা