১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নিহত ২১ হাজার ছাড়ালো, বেশিরভাগই নারী-শিশু

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে প্রতিদিনই শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। রামাল্লাহ এবং পশ্চিম তীরে তীব্র অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। অপরদিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিশ্চিত করেছে।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার গাজার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে গাজার মধ্যাঞ্চল ও খান ইউনিস থেকে পালাচ্ছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কিন্তু গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও ইসরায়েলি আগ্রাসনের কবলে পড়ছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।

সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে দ্য প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদরদপ্তরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ মনে করা হলেও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য থেকে বাদ পড়েনি।

রেড ক্রিসেন্টের মূল ভবনের উপরের ফ্লোরে হামলা চালানো হয়। এতে পুরো ভবন এবং এর আশেপাশে স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনি ওই ভবনকে নিরাপদ ভেবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে আসা লোকজনও ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।

গত কয়েকদিনে সেখানে আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনিই খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল থেকে এসেছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, সংস্থাটির উপরের ফ্লোরে ইসরায়েলি বাহিনীর কামানের গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সূত্র : জাগো নিউজ

বিষয়

গাজায় নিহত ২১ হাজার ছাড়ালো, বেশিরভাগই নারী-শিশু

প্রকাশিত: ০৫:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে প্রতিদিনই শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। রামাল্লাহ এবং পশ্চিম তীরে তীব্র অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। অপরদিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিশ্চিত করেছে।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার গাজার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে গাজার মধ্যাঞ্চল ও খান ইউনিস থেকে পালাচ্ছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কিন্তু গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও ইসরায়েলি আগ্রাসনের কবলে পড়ছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।

সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে দ্য প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদরদপ্তরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ মনে করা হলেও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য থেকে বাদ পড়েনি।

রেড ক্রিসেন্টের মূল ভবনের উপরের ফ্লোরে হামলা চালানো হয়। এতে পুরো ভবন এবং এর আশেপাশে স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনি ওই ভবনকে নিরাপদ ভেবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে আসা লোকজনও ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।

গত কয়েকদিনে সেখানে আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনিই খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল থেকে এসেছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, সংস্থাটির উপরের ফ্লোরে ইসরায়েলি বাহিনীর কামানের গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সূত্র : জাগো নিউজ