০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে গাজা প্রস্তাব। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এরবদলে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও; এতে যুদ্ধ থামানোর কোনো কথা না বলায়, এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্ত হস্তে’ ইসরায়েলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পাসকৃত প্রস্তাবটিতে যা বলা হয়েছে

  • সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
  • একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
  • ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে।
  • জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন।
  • জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
  • মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

বিষয়

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস

প্রকাশিত: ০৫:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে গাজা প্রস্তাব। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এরবদলে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও; এতে যুদ্ধ থামানোর কোনো কথা না বলায়, এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্ত হস্তে’ ইসরায়েলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পাসকৃত প্রস্তাবটিতে যা বলা হয়েছে

  • সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
  • একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
  • ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে।
  • জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন।
  • জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
  • মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা