তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ইমরান খানের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরমাধ্যমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হলো দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
গত ৫ আগস্ট অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানার মালামাল বিক্রির অভিযোগে ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত। সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
শুরু থেকেই তোশাখানার দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইমরান। তার দাবি, রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট ইসলামাবাদ হাইকোর্ট দণ্ড স্থগিত করেন। তবে দণ্ড স্থগিত হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্যই থাকেন তিনি।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা কাল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগের দিন তার আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর থেকেই রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি।
আপিল খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জুথা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘তোশখানা দুর্নীতি মামলার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে অযোগ্যই থাকবেন তিনি।’
ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি প্রকাশের একটি মামলা চলমান রয়েছে। যদি এই মামলায়ও দণ্ড হয় তাহলে তিনি আর কখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকে ইমরান খান দাবি করে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে থাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এই দাবির প্রমাণ দেখাতে গত বছর— যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের একটি গোপন বার্তা জনসভায় সবার সামনে প্রকাশ করেন ইমরান।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন