ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইশতিয়াক আলী খান পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ভারত পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। ভারতের মেঘালয় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মেঘালয় পুলিশ বলছে, ইশতিয়াক আলী খান পান্নার ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৬ আগস্ট পূর্ব জৈন্তার পাহাড়ি গ্রাম ভোই থেকে পান্নার পচা অর্ধ-গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গ্রামটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পান্নার মরদেহের সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, পান্নার দেহটি ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা নাকি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কপালেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।