ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ডাকা ‘বাংলা বন্ধ’ (হরতাল) পালন করতে নিষেধ করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের রাজ্য সরকার।
এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট বার্তা, জনগণ যেন বিরোধী দলের ডাকা বন্ধ পালন না করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন।
এমনকি, সরকারি কর্মচারীদেরও রাজ্য সচিবালয় নবান্নের নির্দেশ, দপ্তরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেবেন। এ ছাড়া পূজার বিকিকিনি চলছে যে সব দোকান-বাজারে, সেই সব দোকানপাটও খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এর জন্য কোন রকম ক্ষতি যদি হয়, তবে সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে স্বয়ং সরকার। একই সঙ্গে নবান্ন জানিয়েছে, তারা সব পরিববহণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখার জন্যও আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও করেছে হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে ‘নবান্ন অভিযান’ শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার লক্ষ্যে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাসের সেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।
ব্যারিকেডের ওপরে উঠে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠছে, দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।