বাংলাদেশে আন্দোলনকারীদের ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।
জোসেপ বোরেল বলেন, ‘কোট সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবশ্যই এসব কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশে বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক, ছোট শিশুসহ অন্য ব্যক্তিদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বহু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হাজারো মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যেন যথাযথ আইনি সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।
জোসেপ বোরেল বলেন, এই সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেগুলোর ওপর তারা গভীরভাবে নজর রাখবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতিগুলো বিবেচনায় রেখে তারা আশা করছেন, বাংলাদেশে সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো হবে।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে এসব বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি।’