বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার আরও বাড়াতে পারবে। পাশাপাশি ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণ এবং ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারও বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এর সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সুদ হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ ছাড়া রপ্তানি খাতের প্রি-শিপমেন্ট ঋণ, পল্লী ও কৃষি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে হবে। এ হিসাবে এসব খাতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
পাশাপাশি ঋণের সুদের হার বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ হারও বাড়াতে পারবে। কারণ আগে আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করা থাকলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমানতের সুদ হারের কোনো সীমা নেই। এ ছাড়া ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণের সুদ নতুন হারে বাড়ানো যাবে। তবে যেসব ঋণের মেয়াদ ছয় মাসের কম রয়েছে সেগুলোর সুদ বাড়ানো যাবে না।
ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণ এবং আমানতের সুদ হার বাড়াতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠান ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে ঋণ বা লিজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। সে হিসাবে সুদের সর্বোচ্চ হার হবে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি আমানতের ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এতে আমানতের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের নিয়ম চালু করতে গত বছরের জুন থেকে স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) সুদহার চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার ঘোষণা করছে। এর আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ও আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করছে।
সূত্র: খোলা কাগজ