০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠে শাম্মী আহমেদ ও পঙ্কজ নাথের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সিরাজ সিকদার (৫৮) নামে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অবস্থায় যাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে সিরাজ সিকদার ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

নিহত সিরাজ সিকদার বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের কোব্বাত সিকদারের ছেলে।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালে যিনি নিয়ে গেছেন তিনি জানিয়েছেন- জনসভার মাঠে সিরাজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, নিহত সিরাজকে নিজেদের কর্মী দাবি করছেন পঙ্কজ ও শাম্মী অনুসারীরা।

বরিশাল-৪ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বলেন, আমার লোকজন যখন জনসভার মাঠে প্রবেশের সময় হামলা হয়। জনসভা মাঠে তারা লাঠি ও রড কোথায় পেল? পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

অপরদিকে শাম্মী আহমেদ বলেন, সিরাজ কৃষক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো লোক তার (পঙ্কজ) সঙ্গে নেই। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে সিরাজ মারা যান।

দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হয়। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।

খবর: জাগো নিউজ

বিষয়

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০২:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠে শাম্মী আহমেদ ও পঙ্কজ নাথের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সিরাজ সিকদার (৫৮) নামে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অবস্থায় যাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে সিরাজ সিকদার ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও সন্দেহের কারণে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

নিহত সিরাজ সিকদার বরিশালের হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের কোব্বাত সিকদারের ছেলে।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালে যিনি নিয়ে গেছেন তিনি জানিয়েছেন- জনসভার মাঠে সিরাজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, নিহত সিরাজকে নিজেদের কর্মী দাবি করছেন পঙ্কজ ও শাম্মী অনুসারীরা।

বরিশাল-৪ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বলেন, আমার লোকজন যখন জনসভার মাঠে প্রবেশের সময় হামলা হয়। জনসভা মাঠে তারা লাঠি ও রড কোথায় পেল? পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

অপরদিকে শাম্মী আহমেদ বলেন, সিরাজ কৃষক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো লোক তার (পঙ্কজ) সঙ্গে নেই। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে সিরাজ মারা যান।

দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হয়। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।

খবর: জাগো নিউজ