বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে আজ রোববার সকাল থেকে সিলেটে বিক্ষিপ্ত পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। আজ সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস সিলেট ছাড়েনি। নগরেও তুলনামূলকভাবে যান চলাচল কম। এর ফলে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার ভরাউট এলাকায় আসেন। তাঁদের অনেকে মুখ ছিল গামছা দিয়ে বাঁধা এবং মাথায় ছিল হেলমেট। নেতা-কর্মীরা ইট আর ইটের টুকরা বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ৩০ মিনিট তাঁরা সেখানে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। পরে তাঁরা সরে যান।
এদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিকপুর ও কাজলশাহ এলাকায় সকালে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাছের শুকনা ডালে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করেন। সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নগরের নাইওরপুল থেকে কুমারপাড়া সড়কে পিকেটিংয়ের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ‘অবরোধ চলছে, চলবে’সহ নানা স্লোগান দেন। সকালে নগরের শাহপরান এলাকায় পিকেটারেরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের ধাওয়া দেয়। পরে অবরোধ-সমর্থকেরা পালিয়ে যান। এ ছাড়া সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায়ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন পিকেটারেরা।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি করছে। সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বার্থে বিএনপি নানা কর্মসূচি দেবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
এদিকে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেট নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, নাইওরপুল, সোবহানীঘাট, কদমতলী, ভার্তখলা, ঝালোপাড়া এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, যানবাহন চলাচল কম। এ কারণে অনেকে হেঁটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কসহ সব স্থানে পুলিশের কড়া নজরদারি আছে। এখন পর্যন্ত নগরে কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।